বৃহস্পতিবার , ১০ জুলাই ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ

বিএনপির গণমিছিল ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় হবে ৩০ ডিসেম্বর।

পপুলেশন ডেস্কঃ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১০ দফা দাবিতে পূর্ব ঘোষিত গণমিছিল কর্মসূচি ২৪ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৩০ ডিসেম্বর পালন করবে বিএনপি।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, যেহেতু বিএনপি সংঘাত চায় না, শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট নিরসন করতে চায় এবং সমস্যার সমাধান চায়। আর যেহেতু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ২৪ তারিখে তাদের কাউন্সিলের কারণে আমাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পরিবর্তন প্রত্যাশা করেছেন এবং আমাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সেজন্য আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক আচারণ করতে চাই। তাই পূর্ব ঘোষিত ২৪ ডিসেম্বর ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যে কর্মসূচি সেটা আমরা পুনর্বিন্যাস করেছি।

তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেহেতু ঢাকায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে সেজন্য ২৪ তারিখে আমরা ঢাকায় গণমিছিল করবো না। তবে, ঢাকা বাদে সারাদেশে গণমিছিলের যে কর্মসূচি আছে, সেটা জেলা-মহানগরে অব্যাহত থাকবে। আর ঢাকায় ২৪ তারিখের পরিবর্তে ৩০ তারিখে গণমিছিল করবো।

৩০ তারিখ গণমিছিল করার সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের যে আন্দোলন, সেই লড়াইয়ে জনগণকে ৩০ ডিসেম্বর স্মরণ করে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ২০১৮ সালের এই তারিখে দিনের ভোট রাতে করে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে। সেজন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী ৩০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে আমাদের ১০ দফার দাবির আলোকে যে লড়াই, সেই লড়াই এগিয়ে নেব।

অন্য কোনও দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি বিঘ্নিত হোক এমন কিছু বিএনপি কখনও করার চেষ্টা করে না বলে উল্লেখ করে দলটির সিনিয়র এ নেতা বলেন, যদিও আমাদের কর্মসূচি বিঘ্নিত করার জন্য আওয়ামী লীগ গত ১০ তারিখে ঢাকায় শহরের প্রত্যেকটা পাড়া-মহল্লায় মহড়া দিয়েছে। শহরের প্রত্যেকটা প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসিয়ে আমাদের লোকজনকে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং মোবাইল ফোন চেক করা হয়েছে। তারপরও আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।

গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে অনুষ্ঠিত বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এই ১০ দফার ভিত্তিতে আগামীতে যুগপৎ আন্দোলন করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। ওই দিন ২৪ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারাদেশে গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু ২৪ ডিসেম্বর ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন। পরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল এক অনুষ্ঠানে বিএনপির গণমিছিলের তারিখ পরিবর্তনের আহ্বান জানান।

কর্মসূচির তারিখ পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে গত ১৩ ডিসেম্বর ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছিলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কর্মসূচির তারিখ পরিবর্তনের বিষয়ে আহ্বান জানিয়েছেন। আমি বিষয়টি বিবেচনায় নেব। এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করে পরে সিদ্ধান্ত নেব।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি আজ গণমিছিলের তারিখ পরিবর্তনের কথা সংবাদ সম্মেলন করে জানালো। অন্যদিকে প্রায় একই দাবিতে ৩০ ডিসেম্বর সারা দেশে গণমিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। মূলত এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের যুগপৎ আন্দোলনের সূচনা হচ্ছে।

Check Also

সিলেটের লোভাছড়ায় পাথর লুট করতে ‘ডেভিল’ ও ‘নন ডেভিল’ একাকার! দুই উপদেষ্টার নির্দেশনা ইউএনও’র কানে পৌঁছায়নি !  

সিলেটের লোভাছড়ায় পাথর লুট করতে ‘ডেভিল’ ও ‘নন ডেভিল’ একাকার! দুই উপদেষ্টার নির্দেশনা ইউএনও’র কানে পৌঁছায়নি !  

লোভাছড়া

আটককৃত পাথরবোঝাই ৯ স্টিলবডি নিয়ে চলছে নানা তৎপরতা।

আটককৃত পাথরবোঝাই ৯ স্টিলবডি নিয়ে চলছে নানা তৎপরতা।

supreme court

ষোড়শ সংশোধনী মামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিচারকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ: সুপ্রিম কোর্ট

ষোড়শ সংশোধনী মামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিচারকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ: সুপ্রিম কোর্ট

চাকরি আইন

অচল সচিবালয়, এনবিআর, নগর ভবন ; সরকারি কর্মচারীদের দাবি ‘ চাকরি আইন ২০২৫ নামক কালো আইন বাতিল করতে হবে।’ ২৬ মে ২০২৫

অচল সচিবালয়, এনবিআর, নগর ভবন ; সরকারি কর্মচারীদের দাবি ‘ চাকরি আইন ২০২৫ নামক কালো আইন বাতিল করতে হবে।’ ২৬ মে ২০২৫

ঢাকাপ্রেস

রয়টার্সের প্রতিবেদন চাপে ইউনূস সরকার, ক্রমাগত বিক্ষোভ-আন্দোলনে অস্থির দেশ।

রয়টার্সের প্রতিবেদন চাপে ইউনূস সরকার, ক্রমাগত বিক্ষোভ-আন্দোলনে অস্থির দেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights