ঢাকা প্রেসঃ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের দিনভর সূচকের উঠানামা করলেও দিনশেষে দরপতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। মুলত দিনশেষে শেয়ার বিক্রির চাপে ঘুরে দাঁড়াতো পারেনি। তবে সূচকের দরপতন হলেও বীমা খাতের শেয়ারের কিছুটা প্রভাব ছিল। অধিকাংশ বীমা খাতের শেয়ারের উর্ধ্বমুখী প্রবনতার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।
এদিন ডিএইতে সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১২ পয়েন্ট। ডিএসইতে সূচক কমলেও বেড়েছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন। এর ফলে মঙ্গল ও বুধবার দুদিন উত্থানের পর আজ দরপতন হলো।
ডিএসইর তথ্য মতে, আজ মোট ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৬টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৭৯৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এর আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭২১ কোটি ৭৮ লাখ ১১ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৭৯৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগেরদিন বুধবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৭২১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৭২ দশমিক ৪২ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৪ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ১৯৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৭১ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৮৪টি এবং কমেছে ৭৬টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৯৭টির। অপরদিকে সিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা শেয়ার। আগেরদিন বুধবার ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৯০টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৫০টি, কমেছে ৫৭টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৮৩টির।
এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১২ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৯০ দশমিক ১৩ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৪৪ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক দশমিক ২৪ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স ৭ দশমিক ৬০ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক দশমিক ৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৮ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৪৬১ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৭৩ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৭১ দশমিক ১৬ পয়েন্টে।