পপুলেশন ডেস্কঃ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ দীর্ঘ ৭ বছর পর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করেছে। ২০১৬ সালের পর কোম্পানিটির কোনো এজিএমই আর হয়নি। দীর্ঘ বিরতির পর মঙ্গলবার অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এজিএমে স্বতন্ত্র পরিচালকদের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ডের সদস্যরা দেশের প্রচলিত সব বিধি-বিধান অনুসরণ করে যতদ্রুত সম্ভব এয়ারলাইন্সটিকে অপারেশন্সে ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে। তারা বলেন, প্রথম ধাপে কার্গো অপারেশন্স শুরু করে পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে যাত্রীসেবা শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ২০১০ সালে দেশের একমাত্র উড়োজাহাজ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কিন্তু ২০১৬ সালে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় কোম্পানিটি। এতে তাদের শেয়ারদর নামতে নামতে ২ টাকার নিচে নেমে আসে।
এজিএমগুলোর সভাপতিত্ব করেন বোর্ড চেয়ারম্যান কাজী ওয়াহিদুল আলম। এছাড়াও ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের পরিচালক অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. মাকসুদুর রহমান সরকার, অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, মো. শাহনেওয়াজ, সৈয়দ এরশাদ আহমেদ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) এটিএম নজরুল ইসলাম সভায় অংশগ্রহণ করেন।
এজিএমে প্রতি বছরের অডিটর রিপোর্ট এবং আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করা হয় এবং তা সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ারধারীদের ভোটে অনুমোদিত হয়।
সার্বিক সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য বর্তমান সরকার, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বর্তমান বোর্ড।
কয়েকশ শেয়ারধারী এজিএম-এ অংশগ্রহণ করেন এবং এয়ারলাইন্সটিকে পুনরায় অপারেশন্সে ফিরিয়ে আনতে বর্তমান বোর্ডের উদ্যোগগুলোর প্রশংসা করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ প্রতিষ্ঠা লাভের পর ২০১০ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হাজার হাজার সাধারণ শেয়ারধারীকে অনিশ্চয়তা ও হতাশার মধ্যে ঠেলে দিয়ে পূর্বঘোষণা ছাড়াই এয়ারলাইনটির ফ্লাইট কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।