সিলেট থেকে সালমান আহমেদ, পর্ব-২ঃ জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সাম্প্রতিক নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগে ইতোমেধ্যে অবৈধভাবে নিয়োগকৃত আট জন পরিবার কল্যাণ সহকারীর নিয়োগ বাতিল পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করা হয়েছে এবং জেলার উপ-পরিচালক ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু, অভিযোগ রয়েছে, এসকল অপকর্মের মূল হোতা জেলা অফিসের স্টেনো বাশির উদ্দিন কোনো এক অদৃশ্য শক্তির বলে ধরাছোঁয়ার বাইরে এখনো রয়েছেন। এ নিয়ে সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ রিপোর্ট করতে গিয়ে দেখা যায়, সাম্প্রতিক নিয়োগকৃত যে আট জন পরিবার কল্যাণ সহকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে এর সবগুলো আদেশেই অনুস্বাক্ষর করেছেন বাশির উদ্দিন। এছাড়া এই তালিকা আরো দীর্ঘায়িত হচ্ছে যা তদন্ত সূত্রে পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে, বিগত ২০১৮ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবৈধভাবে তিনি তার পরিবারের অন্তত ০৫ জনকে নিয়োগ প্রদান করেন! এছাড়াও জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের প্রতিটি প্রশিক্ষণে তার স্ত্রী (পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা) নিশ্চিতভাবেই থাকেন ! আর অন্য কেউ যেকোনো প্রশিক্ষণে নাম দিতে হলে এক হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হয়! অন্যথায় যুগের পর যুগ চলে যায় অন্য কেউ প্রশিক্ষণ পান না। এসব নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজমান।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতে গিয়ে দেখা যায়, সাম্প্রতিক নিয়োগে বিভিন্ন পদে যে অনিয়ম হয়েছে তার নেপথ্যে যেক‘জন লোক জড়িত তাদের মধ্যে একমাত্র কর্মচারী বাশির উদ্দিন যিনি সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের একমাত্র কর্মচারী। সকল নিয়োগ আদেশে তার স্বাক্ষর রয়েছে। অথচ সকল অনিয়মের রাজ স্বাক্ষী হয়েও মনে হচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে!কিন্তু সরেজমিনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকের সাথে আলাপকালে জানা গেছে বাশির উদ্দিন এই জেলা অফিসে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই অনিয়মের এক স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয় অফিসটি। তবে অনেকেরে মতামত এটা অস্বাভাবিক নয়, কারণ, তারই আপন বড় প্রয়াত নজরুল ইসলাম (অফিস সহকারী, সদর পরিবার পরিকল্পনা অফিস, সিলেট) প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ফেরারী হয়ে বছর খানেক আগে মৃত্যু বরণ করেন। অভিযোগ সম্পর্কে জনাব বাশির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।