ঢাকা প্রেসঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের কারণে আগামী ২০ বছরে ক্যানসারের চেয়েও বেশি মানুষ মারা যাবে। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এ জন্য বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রাসী বাজারজাতকরণ ও যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি প্রধানত দায়ী।
শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জে এক সেমিনারে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সোসাইটি অব সার্জন অব বাংলাদেশের (এসওএসবি) নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল এ সেমিনারের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটিকে প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের দাবি হলো ওয়ান হেলথ ওয়ান হার্ট। অ্যান্টিবোয়োটিক যে শুধু সার্জনরা বা ফিজিশিয়ানরা ব্যবহার করছে তা না।এ অ্যান্টিবায়োটিক এখন কৃষিতে ব্যবহার করা হচ্ছে, পোল্ট্রি শিল্পে ব্যবহার করা হচ্ছে, এমনকি মশার লার্ভা মারতেও কিছু ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার হচ্ছে।
মহাপরিচালক বলেন, সেফালোস্পোরিন এর পরে অ্যান্টিবায়োটিকের মৌলিক কোনো উপাদান আবিষ্কার হয়নি। এ সেফালোস্পোরিনের গঠন পরিবর্তন করে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য বাজারে ছাড়ছে। তাদের আগ্রাসী বাজারজাতকরণ অভ্যাসের কারণে আমরা সাধারণ জনগণ ও চিকিৎসকরা (সার্জন) এগুলো ব্যবহার করছি। আমরা এগুলো ব্যবহার করছি জেনে না জেনে এবং প্রয়োজনে এবং অপ্রোয়জনে। খোলা বাজারে যেভাবে এ অ্যান্টিবায়োটিকগুলো বিক্রি হচ্ছে তা প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স আইন করার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু এই বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সে আইন বাস্তবায়ন করা যায়নি।
সোসাইটি অব সার্জন অব বাংলাদেশের সাইন্টিফিক সেমিনারে ডা. এসএম ইফতেখার উদ্দীন সাগরের সঞ্চালনায় ও ডা. একেএম শরিফুল আলম ফেরেদৌসের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এফএম মুশিউর রহমান, ৩০০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাশার, বিএমএ নারায়ণগঞ্জের সভাপতি ডা. চৌধুরী মো. ইকবাল বাহার, সাধারণ সম্পাদক ডা. দেবাশীস সাহা, এস ও এস বি নারায়ণগঞ্জের সহ-সভাপতি অধ্যাপক সাদের উদ্দিন নাঈম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. নূর হোসেন ভূঁইয়া।